Friday, September 6, 2019

সাকিবকে পেছনে ফেলে দ্রুততম ১০০ তাইজুলের

সাকিবকে পেছনে ফেলে দ্রুততম ১০০ তাইজুলের

সাকিবকে পেছনে ফেলে দ্রুততম ১০০ তাইজুলের

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তাইজুল ইসলাম। এ পথে তিনি টপকে গেলেন সাকিব আল হাসান

চট্টগ্রামে ভেলকি দেখাচ্ছেন তাইজুল।


অপেক্ষা ছিল আর মাত্র এক উইকেটের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনবান্ধব হওয়ায় খেলার শুরুতেই সে অপেক্ষা ঘুচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত ঘটলও তাই। আফগানিস্তানের ইনিংসে ১৩তম ওভারে রেকর্ডটি গড়লেন তাইজুল ইসলাম। আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহকে বোল্ড আউট করে টেস্টে শততম উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেন বাঁহাতি এ স্পিনার। দেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও এখন তাইজুলের।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ন্যূনতম ১০০ উইকেট ছিল মাত্র দুজন ক্রিকেটারের। ৮ বছরের (২০০০-০৮) ক্যারিয়ারে ৩৩ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে থেমেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। টেস্টে দেশের হয়ে প্রথম ১০০ উইকেট শিকারের নজিরও রফিকের। সাকিব আল হাসান এসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দেখা পান শততম উইকেটের। টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটসংখ্যাও সাকিবের। গত বছর এই চট্টগ্রামেই দেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ২০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব। মজার ব্যাপার, টেস্টে এখন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেটশিকারিই স্পিনার এবং তাঁরা প্রত্যেকই বাঁহাতি!

তবে তাইজুল একটি জায়গায় রফিক ও সাকিবের চেয়ে এগিয়ে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সময়ে ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি এখন তাইজুলের। ক্যারিয়ারের ২৮তম টেস্টে এসে ১০০তম উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি ২০১২ সালে, তখন সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স ছিল পাঁচ বছরের কিছু বেশি। আজ চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের ২৫তম টেস্টে ১০০ উইকেটের দেখা পেয়ে সাকিবকে পেছনে ফেললেন তাইজুল। মজার বিষয়, তাইজুল এ মাইলফলক ছুঁতে সময় নিয়েছেন কাঁটায় কাঁটায় পাঁচ বছর। টেস্টে তাইজুলের অভিষেক কিংস্টোনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।

ক্যালেন্ডারে আজ সেই ৫ সেপ্টেম্বরই!

টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম ১০০ উইকেটশিকারি


খেলোয়াড় ম্যাচ উইকেটসংখ্যা
তাইজুল ইসলাম ২৫* ১০০*
সাকিব আল হাসান ২৮ ১০০
মোহাম্মদ রফিক ৩৩ ১০০
একজন মেয়ের মাঝে যে “খারাপ” দিকগুলো থাকা প্রয়োজন

একজন মেয়ের মাঝে যে “খারাপ” দিকগুলো থাকা প্রয়োজন

একজন মেয়ের মাঝে যে “খারাপ” দিকগুলো থাকা প্রয়োজন

একজন মেয়ের মাঝে যে “খারাপ” দিকগুলো থাকা প্রয়োজন


একজন পারফেক্ট সঙ্গিনীর খোঁজে জীবন পার করে দিয়েছেন? নিখুঁত শরীর, উজ্জ্বল গায়ের রঙ, আপনার সব কথাই শোনে এমন একটি মেয়ে চেয়েছেন আজীবন? তাহলে জেনে নিন, ভুলটা কিন্তু সেখানেই করছেন! আপনার কল্পনার সেই “পারফেক্ট” সঙ্গিনীর সাথে অল্প কিছুদিনেই বোর হয়ে যাবেন আপনি, কিংবা সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে আপনার প্রতি।

বরং, যদি দীর্ঘ ও সুখী সম্পর্ক চান তাহলে সঙ্গিনীর মাঝে কিছু ত্রুটি থাকা অত্যাবশ্যক। আপাত দৃষ্টিতে সব ছেলের কাছেই মেয়েদের এই ব্যাপারগুলো খারাপ। কিন্তু আসলে ব্যাপারটি হচ্ছে, যাদের সঙ্গিনীর মাঝে এই ত্রুটিগুলো আছে সেসব পুরুষেরা আসলে ভাগ্যবান! চলুন জানি এমন ১০টি ত্রুটির কথা।

১) সঙ্গিনী সারাদিনে অসংখ্যবার খোঁজ নেন আপনার? অনেক বেশী খেয়াল করেন আপনার সব জিনিসের? হ্যাঁ, আপনি হয়তো তাতে খুব বেশী বিরক্ত হন। তাহলে জেনে রাখুন, পৃথিবীতে খুব বেশী পুরুষের ভাগ্যে এমন নারী জোটেনা, যে কিনা প্রিয় পুরুষের সব দিকে নিজেই খেয়াল রাখে।

২) আপনার পছন্দের মেয়েটি কি স্বাধীনচেতা একটু বেশী? জেনে রাখুন, এটা আপনার জন্য আশীর্বাদ। একজন স্বাধীনচেতা নারী কখনোই কারো ওপরে বোঝা হবেন না বরং কদমে কদম মিলিয়ে চলবেন আর আপনার জীবনের ভারও লাঘব করবেন অনেকটাই।

৩) সঙ্গিনী কি প্রায়ই আপনার দোষ এবং ভুল ধরিয়ে দেন? বলাই বাহুল্য যে এতে মারাত্মক বিরক্ত হন আপনি। কিন্তু জেনে রাখুন, তিনি আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য এটা করেন না। বরং দুনিয়া যে আপনার কোন খুঁত ধরতে না পারে, সেই চেষ্টা করেন। দিন শেষে আপনারা দুজন একই টিমে, তাই অযথা মন খারাপ করবেন না।

৪) তিনি কি প্রায়ই আপনাকে ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দেন আর এই বিষয়টি নিয়ে আপনি বিব্রত হন? হারিয়ে ফেলার ভয় আসলে ভালোবাসার বন্ধনকে মজবুত করে।

৫) কেবল পেশা নিয়েই না, আপনার জীবনের সবদিকেই উন্নতি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন আপনাকে? এটার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় সত্যি, তবে সঙ্গিনী চাপ না দিলে যে আপনি উন্নতি করতেন না, সেটা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন?

৬) সঙ্গিনী খুবই চঞ্চল হলে পুরুষদের বিরক্তির সীমা থাকে না। পুরুষেরা ভুলে যান যে একজন চঞ্চল নারী তাঁর জীবনটাকে অনেক বেশী মজার ও অ্যাডভেঞ্চার ভরা করে তুলবে।

৭) মেয়েরা একটু স্পষ্টবাদী, সোজা বাংলায় ঠোঁটকাটা স্বভাবের হলে পুরুষেরা তাঁদেরকে পছন্দ করেন না মোটেই। কিন্তু জেনে রাখুন, প্রেম করার জন্য মিথ্যা অভিনয় করে এমন মেয়েদের ভালো মনে হলেও, জীবনসঙ্গিনী হিসাবে একজন স্পষ্টবাদী নারীর বিকল্প নেই।

৮) তিনি আপনাকে এত বেশিই ব্যস্ত রাখেন যে আপনার জীবনে জুড়ে কেবল সে আছে? এই ব্যাপারটি জানিয়ে দেয় যে একসাথে সংসার করতে গেলে আপনারা সুখী হবেন।

৯) তিনি ভিড়ের মাঝেও আপনার হাত ধরে থাকেন আর সেটা নিয়ে খুব বিরক্ত হন আপনি? হবেন না। কারণ মেয়েরা তাঁর হাতই এভাবে আঁকড়ে ধরে, যাকে তাঁরা সত্যিকারের ভালোবাসে এবং কোন মূল্যেই হারাতে চায় না।

১০) মেয়েরা অনেক কথা বলে, এটা নিয়েই পুরুষদের অভিযোগের শেষ নেই। অথচ কথা বলা কিন্তু মোটেও খারাপ কিছু নয়। দুজনেই যদি চুপচাপ হন, তাহলে জীবন চলবে কী করে?



এই ৩ ধরণের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করবেন না

এই ৩ ধরণের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করবেন না

এই ৩ ধরণের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করবেন না

এই ৩ ধরণের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করবেন না


প্রেম বা সম্পর্ক করার বিষয়ে, অন্তত ছেলেদের বিষয়ে নতুন করে বলার মত কিছু নেই। আমি সব ছেলের কথা বলবো না কিন্তু অনেক ছেলেই একটু সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার সাথে কথা বলতে, এমনকি সুযোগ পেলে তার সাথে সম্পর্কে জড়াতেও আগ্রহী হয়ে যান।

অনেকে আবারা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটেও এমন একটি ভালো মেয়ের সন্ধান করেন, যার সাথে তিনি সম্পর্ক করতে পারবেন। বলাই যায়, একটি মেয়ে যত সহজে কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়াতে পারে, ছেলেদের জন্য ব্যপারটা ততটা সহজ হয়ে ওঠে না।

একটি ছেলের কাউকে পছন্দ হলে তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্য নেওয়া ছাড়াও মেয়েটার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানা, তার মনের মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরী করা, আরো কত কি করা শুরু করে দেয়।

আর যাদের এখনও কাউকে পছন্দ হয়নি, তারা প্রতিনিয়ত সন্ধান করতে থাকেন সেই স্বপ্নের মেয়েটির যার সাথে তিনি একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরী করবেন। স্বপ্নের মেয়েটিকে জীবনে পাওয়ার উপায় যদিও আছে, তবু তাকে পাওয়া সব সময় সহজ হয়ে ওঠে না।

আপনি যদি কোন মেয়েকে পেয়েও থাকেন, তবুও তিনি যে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সম্পর্কের কিছুদিন পর থেকেই যদি লক্ষ্য করেন যে, আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে গেছে, তাহলে সম্ভবত আপনি নিজের জন্য ভুল মানুষটিকে নির্বাচন করেছেন।

আসলে জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী। যাইহোক, জীবন চলার পথে এমন ৩ ধরণের মেয়েদের সঙ্গে আপনার পরিচয় হতে পারে যাদের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে সতর্ক থাকা ভাল। আসুন, জানি সেই ৩ ধরণের মেয়ে সম্পর্কে।

মিস বার্বি গার্ল

টাইটেল দেখেই নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গেছেন যে আমি কোন ধরনের মেয়ের কথা বলছি। এ ধরনের মেয়েরা সম সময় নিজেকে সব বিষয়ে পারদর্শী ভেবে থাকে এবং স্বভাবতই যে কোন জায়গায় এরা নিজেদেরকে কিউট হিসাবে জাহির করতে চায়।

আপনি হয়তো স্বাভাবিক সময়ে এসব মেয়ের এই রূপ দেখতে পাবেন না। কিন্তু ভুল আপনি তখনই বুঝতে পারবেন, যখন আপনি তাকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার কথা বলার পর সে ৩ ঘন্টার সমপরিমাণ বা তার বেশি সময় শুধুমাত্র তৈরী হতেই ব্যয় করবে।

আপনি তাকে ঘুরতে নিয়ে যান আর মুদি দোকানে নিয়ে যান, প্রত্যেক জায়গাতেই তার তৈরী হওয়ার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাছাড়া তারা যেখানেই যাবে, তাদের মেকআপ বক্স তাদের সাথে সাথেই যাবে এবং কিছুক্ষণ পর পরই আপনি সেটির ব্যবহার লক্ষ্য করতে পারবেন।

আমি জানি গার্লফ্রেন্ড যদি সুন্দর হয়, তাহলে সবারই ভাল লাগে। কিন্তু মিস বার্বি গার্ল এর প্রেমে পড়লে খুব তাড়াতাড়ি এটিই আপনার জন্য বড় বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।

মিস ফার্টি

যদি সত্যিকার অর্থেই কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চান, তাহলে এই ধরনের মেয়ের থেকে নিজেকে দুরে রাখুন। আপনি তার কথায় যদিও এই মুহুর্তে উত্তেজিত হয়ে তার প্রেমে পড়ে যাবেন, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আপনি বুঝতে পারবেন যে অন্তত এই বিষয়ে সে আপনার একার প্রতিই আন্তরিক নয়।

ফার্টিং এর ব্যাপারটি তার ভিতরে প্রাকৃতিক এবং সে এটি আপনি ছাড়াও বিভিন্ন ছেলের সাথে করে থাকে। আপনিই ভাবুন আপনার সামনে যদি সে আপনারই কোন বন্ধু বা পরিচিত কারো সাথে ফ্যার্ট করে, তখন আপনার কেমন লাগবে!

ধরে নিলাম আপনার সামনে সে এমন কিছুই করলো না। কিন্তু আপনার পিছনে সে যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে, সেটির নিশ্চয়তা কিভাবে দেবেন? আর তার এই ভুল ইঙ্গিতের দ্বারা অন্য কোন ছেলেও তার প্রেমে পড়বে এবং আপনি যে অশান্তিতে ভুগবেন সেটিরও সম্ভবণা প্রবল।

মিস বিউটিফুল

নারী হিসাবে আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুবই ভালো ব্যাপার, কিন্তু এই ব্যপারে অবশ্যই নয় যা আমি আপনাদের বোঝাতে চাইছি। এ ধরনের মেয়েরা নিজেদের পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ভাবে, যা তাদেরকে অহংকারের চরম সীমানায় পৌছে দেয়। অন্য যে কোন মেয়েকে তারা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে এবং অসৌজন্যমূলক কথা বার্তা এবং ব্যবহার করে থাকে।

তবে, এদের আমি কখনোই আত্মবিশাসী বলবো না। আমি বলবো এদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসেরই সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে। আর এ কারণে এরা নিজেদের সুন্দর বলে দাবি করে সকলের কাছে সমাদৃত হতে চায়। এদের আত্মবিশ্বাস এতটাই কম থাকে যে এরা বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলে এবং তাকে কেমন দেখতে লাগে বা সে কতটা সুন্দরী তা বোঝানোর চেষ্টা করে।

আর যদি কেউ একটু নেতিবাচক কথা বলে, তাহলে হয় তার সাথে ঝগড়া করে, নয়তো তার চোখে নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। মোটকথা, তারা সেই সবগুলো চোখের সামনেই নিজেকে তুলে ধরতে প্রস্তুত, যারা তাকে দেখতে চায়।

অবশ্যই কোন নির্দিষ্ট এক ধরনের মেয়ে সবার জন্য আদর্শ হতে পারে না। প্রতিটি মেয়েরই তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট এবং ব্যক্তিত্ব রয়েছে। এখন তাদের মধ্যে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মেয়েটিকে নির্বাচন করাটাই আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ এবং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যপার।

কারণ আপনার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আপনি এবং সেই মেয়ে



Thursday, September 5, 2019

নেইমার না ফেরায় ‘প্রতারিত’ বার্সার খেলোয়াড়েরা

নেইমার না ফেরায় ‘প্রতারিত’ বার্সার খেলোয়াড়েরা

নেইমার না ফেরায় ‘প্রতারিত’ বার্সার খেলোয়াড়েরা

বার্সার দুই তারকা লিওনেল মেসি ও লুই সুয়ারেজ।
ছবি: বার্সেলোনা টুইটার পেজ


নেইমারকে ফেরাতে না পারায় বার্সেলোনার কর্মকর্তাদের ওপর অসন্তুষ্ট দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়। বার্সার সিনিয়র খেলোয়াড়েরা মনে করেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন

সবচেয়ে আলোচিত সম্ভাব্য দলবদলটা আলোচনার টেবিলেই থেকে গেল। ওদিকে শেষ হয়ে গেল ইউরোপে দলবদলের মৌসুম। নেইমারকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে থেকে যেতে হচ্ছে পিএসজিতে। আর সে জন্য মন খারাপ বার্সেলোনা ড্রেসিং রুমের। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী নেইমার না আসায় বার্সার মূল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় নিজেদের ‘প্রতারিত’ বলে মনে করছেন!

স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ও ফরাসি ফুটবলে দলবদলের মৌসুম শেষ হয়েছে সোমবার রাতে। নেইমারের ফেরার আশায় ছিলেন বার্সার মূল দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় বিশেষ করে সিনিয়ররা। সুয়ারেজ, মেসি ও নেইমারকে নিয়ে আবারও ‘এমএসএন’ জুটির ঝলক দেখার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ানকে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়েও পিএসজির সঙ্গে আলোচনায় রফা করতে পারেনি বার্সা। আর তাই ভেস্তে যায় নেইমারকে ফেরানোর প্রক্রিয়া।

মার্কা জানিয়েছে, পিএসজিকে তারকাকে ফেরাতে সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা করার কথা বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউ ও তাঁর বোর্ড সদস্যদের বলেছিলেন ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা। বার্তোমেউয়ের বোর্ড শেষ পর্যন্ত তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বার্সার খেলোয়াড়েরা নিজেদের প্রতারিত বলেই মনে করছেন। নেইমারকে ফেরাতে বার্সা খুব একটা আগ্রহী ছিল না, মনে করছেন খেলোয়াড়েরা। আর দলবদলের মৌসুম চলাকালীন নেইমারকে কেনার ব্যাপারে বার্সার তোড় জোর ছিল স্রেফ লোক দেখানো, দলের খেলোয়াড়দের সন্তুষ্ট রাখার জন্য—এমনটাই মনে করছেন ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা।

নেইমারকে কিনতে দলের বর্তমান স্কোয়াডে কয়েকজন খেলোয়াড়কে চুক্তিতে ব্যবহার করতে চেয়েছে বার্সা। ইভান রাকিতিচ তাঁদের একজন। দাম নিয়ে বেশ কয়েক ধাপের প্রস্তাবনায় বার্সার শেষ ধাপ ছিল—নগদ ১৩০ মিলিয়ন ইউরোর পাশাপাশি রাকিতিচ, জ্যাঁ ক্লাইর তোদিবোকে স্থায়ীভাবে দেবে বার্সা, পাশাপাশি ওসমানে ডেমবেলেকেও দেওয়া হবে ধারে। পিএসজি রাজি হয়নি। বার্সার এমন প্রস্তাবে রাকিতিচ অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে মার্কা। কারণ তিনি বার্সাতেই থাকতে চান। আর ক্রোয়াট এ মিডফিল্ডার বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেরও ওপরও খুশি নন। লা লিগায় বার্সার প্রথম ম্যাচে তাঁকে বাইরে রেখেই একাদশ গঠন করেছিলেন ভালভার্দে।

নগদ অর্থের ক্ষেত্রে পিএসজি কোনোভাবেই নেইমারের দাম ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর নিচে নামাতে রাজি হয়নি। ঠিক এ পর্যায়ে এসে শেষ চেষ্টা করেছিলেন নেইমার নিজেই। নিজের ঝুলি থেকে বাকি ২০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিলেন পিএসজিকে। পিএসজি এরপরও রাজি হয়নি। এ কারণে বার্সা ফরোয়ার্ড লুই সুয়ারেজ মনে করেন, ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে নিজের সর্বোচ্চটুকু নিংড়েই চেষ্টা করেছেন নেইমার। ২০১৭ সালে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। সে প্রসঙ্গে ফক্স স্পোর্টস রেডিও আর্জেন্টিনাকে সুয়ারেজ বলেন, ‘তখন (২০১৭) এ নিয়ে কথা হয়েছিল। আমরা তাকে বলেছিলাম বার্সার চেয়ে ভালো জায়গা আর হয় না। কিন্তু পছন্দের ব্যাপারটি তার। আর এখন সে ফেরার জন্য সব রকম চেষ্টাই করেছে।’

তাহলে বার্সাই কি নেইমারকে কিনতে চায়নি?



চলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের ‘হরর শো’!

চলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের ‘হরর শো’!

চলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের ‘হরর শো’!


দ্রুতই ড্রেসিং রুমে ফিরছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
 এবার অ্যাশেজে পরিচিত দৃশ্য। ছবি: এএফপি


চলতি অ্যাশেজে মোটেও ভালো করতে পারছে না অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি। এবার অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা তাদের জন্য ফিরিয়ে এনেছে ১৩১ বছর আগের স্মৃতিকে।

চলতি অ্যাশেজে আগের তিন টেস্ট ও আজ ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম ইনিংস মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট সাত ইনিংস ব্যাট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারেরা। তাঁদের রানসংখ্যা দেখে ( ৮, ২, ৭, ৮, ১৩, ৩, ১৬, ৫, ৬১, ৮, ১৯, ০, ০, ১৩) যেকোনো ‘হরর’ মুভি মনে পড়তে পারে। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টেও এই ‘হরর শো’ পাল্টাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

ডেভিড ওয়ার্নারকে এখন স্টুয়ার্ট ব্রডের ‘বানি’ বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। অস্ট্রেলিয়ার এ ওপেনার আজও শিকার হয়েছেন ব্রডের। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন জনি বেয়ারস্টোকে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটির এই ‘হরর শো’-তে ব্রডকে নিয়ে ওয়ার্নারের নিজস্ব প্রযোজনার ভূমিকা অসামান্য (!)।

এবার অ্যাশেজে সাত ইনিংস মিলিয়ে পাঁচবার ব্রডকে উইকেট দিয়েছেন তিনি। আর এ সাত ইনিংসে ওয়ার্নার ছয়বারই রান তোলায় দুই অঙ্কের পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এবার অ্যাশেজে সর্বোচ্চ আর তিন ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পাবেন ওয়ার্নার। এর মধ্যে মাত্র এক ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে আউট হলেই ছুঁয়ে ফেলবেন মাইকেল আথার্টনকে। ১৯৯৭ সালে ছয় টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে ৭টি ইনিংসে ‘সিঙ্গেল ফিগার’-এ আউট হওয়ার রেকর্ডটি এখনো সাবেক এ ইংলিশ ওপেনারের দখলে।

শুধু ওয়ার্নার কেন, এই অ্যাশেজে তাঁর দুই ওপেনিং সতীর্থ ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও মার্কাস হ্যারিসও ভালো করতে পারছেন না। ৮, ১৯ ও ১৩—এ হলো হ্যারিসের সংগ্রহ। ব্যানক্রফট দুই টেস্ট খেলে ৮, ৭, ১৩ ও ১৬। আর ওয়ার্নার খেলেছেন আগের তিন টেস্টেই—১, ৮, ৩, ৫, ৬১ এ ০। এ তিন ওপেনারের প্রতি ইনিংসের রানসংখ্যা লেখার শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকালে একটা প্রশ্ন উঁকি দেবেই—অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারেরা সবশেষ কবে এমন বাজে খেলেছেন?

১৩১ বছর আগে। হ্যাঁ, প্রায় দেড় শতাব্দী আগে ‘ছাইভস্ম’ জয়ের এ লড়াইয়ে এবারের চেয়েও বাজে ব্যাট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারেরা। সে সিরিজের পর ওপেনিং জুটিতে এবারই এতটা বাজে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। ১৮৮৮ সালের সে অ্যাশেজ সিরিজ ছিল তিন টেস্টের। আর তাতে ছয় ইনিংস মিলিয়ে ওপেনিং জুটিতে অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যাটিং গড় ছিল ৮! এবার এখন পর্যন্ত সাত ইনিংস মিলিয়ে তা ১৫.১৪। মাঝের এ সময়ে অ্যাশেজে ওপেনিং জুটিতে কখনো এত বাজে শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়া। এবারের জঘন্য শুরু ফিরিয়ে এনেছে ১৩১ বছর আগের সে স্মৃতি। অ্যাশেজে সব সিরিজ বিচারে এবার ওপেনিং জুটিতে তৃতীয় সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড় অস্ট্রেলিয়ানদের।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি ভেঙেছে প্রথম ওভারেই। আর দুই ওপেনার ফিরে গেছেন সপ্তম ওভারের মধ্যে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ৯৮ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে রয়েছেন দুই স্তম্ভ স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশানে। বৃষ্টি হানা দেওয়ায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ শেষে খেলা মাঠে গড়ায়নি।



সাকিবের সঙ্গে একমত রশিদ

সাকিবের সঙ্গে একমত রশিদ

সাকিবের সঙ্গে একমত রশিদ



চট্টগ্রাম টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন কারা, এ প্রশ্নে সাকিব-রশিদ দুজনের ভাবনা এক।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ড্রেসিংরুমের সামনে কাল সাকিব আল হাসানকে রশিদ খানের জড়িয়ে ধরার ছবিটা নিশ্চয়ই দেখেছেন। ক্রিকেটীয় সৌজন্য তো আছেই, আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলেন, দুজন এক অর্থে ‘সতীর্থ’। দুজনের হার্দিক শুভেচ্ছা বিনিময় হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আইপিএলে সতীর্থ হতে পারেন, এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দুজন আছেন ‘ন্যাশনাল ডিউটি’তে। দুজনই কালে মাঠে নামবেন নিজের দেশকে জেতাতে। সেই লড়াইয়ে স্পিনাররা রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা—এটাই শোনা যাচ্ছে গত কদিনে। কন্ডিশন-উইকেটের চরিত্র, চট্টগ্রামে অতীত রেকর্ড—এসবই হয়তো এমনটা ভাবতে বাধ্য করছে। বাংলাদেশ দল তাই স্কোয়াডে রেখেছে চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার—একাদশে চারজনেরই ঠাঁই মেলার জোর সম্ভাবনা। আফগানিস্তান দলে দুই লেগ স্পিনার, এক ‘চায়নাম্যান’। সঙ্গে যোগ করতে হবে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীকেও। লড়াইটা তাহলে দুই দলের স্পিনারদের মধ্যেই হতে যাচ্ছে? যদি সেটাই হয় বাংলাদেশ না আফগানিস্তান, কোন দলের স্পিন আক্রমণ এগিয়ে থাকবে এই টেস্টে?

সাকিব আল হাসান: দেশে আমরা তো ভালোই বোলিং করেছি। আমাদের স্পিনাররা যখনই তাদের পছন্দ মতো উইকেট যখন পেয়েছে, সব সময়ই ভালো করেছে। তবে ওদেরও কোয়ালিটি স্পিনার আছে। আমার মনে হয় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এখানে দুই দলের ব্যাটিং।

এই হচ্ছে ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্কের সাকিব! সবাই যখন স্পিন-স্পিন করছে, তখন তিনি ভাবছেন অন্য কিছু। উইকেট যদি স্পিন-সহায়ক ‘মাইনফিল্ড’ হয় সেখানে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ব্যাটসম্যানদেরই। এই পিচে ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের স্কোর না এনে দিতে পারলে বোলাররা লড়বেন কী করে? আফগান অধিনায়ক এক মত সাকিবের সঙ্গে।

রশিদ খান: ঠিক বলেছে। আমরাও এটা ভাবছি। এই কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের রান করা কঠিনই হবে। যে টিকে থাকতে পারবে, চাপ সামলাতে পারবে, তারাই জিতবে। স্পিনারদের ঠিক জায়গায় বোলিং করতে হবে। ঠিক লেংথে বোলিং করতে পারলে উইকেট পাওয়া সহজ হবে। আগে এখানে স্পিনারদের ম্যাচ হতে দেখেছি। দুই দলেরই তাই ব্যাটসম্যানদের অগ্নিপরীক্ষা। যারা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে, যারা স্নায়ুর সঙ্গে পেরে উঠবে, ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করবে তারাই জিতবে।

রশিদ বললেন এ ধরনের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পারবেন উতরে যেতে? সাকিব আশাবাদী তাঁর ব্যাটসম্যানদের নিয়ে, ‘হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে ব্যাটসম্যানদের। ওদের যারা ফাস্ট বোলার আছে তারাও বেশ ভালো মানের। স্পিনাররা তো খুবই ভালো। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি আমার ব্যাটসম্যানদের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখছি। আসলে গত দুই সপ্তাহে যতটা প্রস্তুতি নিয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু করা যায় না। সবাই যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েছে। এখন মাঠে ওই অনুশীলনের প্রতিফলন ফেলতে পারলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’

কথা এটাই, প্রস্তুতি শেষ। মাঠের সেটির প্রতিফলন ঘটানোর অপেক্ষা।



দুই ভূমিকায় মিসবাহ, সতর্ক করলেন ভোগলে

দুই ভূমিকায় মিসবাহ, সতর্ক করলেন ভোগলে

দুই ভূমিকায় মিসবাহ, সতর্ক করলেন ভোগলে



পাকিস্তান ক্রিকেট দলে মিসবাহ-উল-হকের দুই ভূমিকা পছন্দ করছেন না ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। টুইটারে তিনি এ ব্যাপারে জানিয়েছেন সতর্কবার্তা।

মিসবাহ-উল-হকের দ্বৈত ভূমিকাটা ঠিক পছন্দ করছেন না বিখ্যাত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ভোগলের মতে, এমনটি হলে খেলোয়াড়েরা কোচের সঙ্গে পুরোপুরি সৎ থাকতে পারবে না।

এ ব্যাপারে টুইট করেছেন ভোগলে। তিনি লেখেন, ‘এক ব্যক্তিকে একই সঙ্গে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক করার ধারণাটা আমি কখনোই পছন্দ করি না। অনেক সময় খেলোয়াড়েরা কোচের কাছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসে। যদি তারা মনে করে, সমস্যা কোচ জানলে সে দল থেকে বাদ পড়তে পারে, তাহলে তারা কখনোই কোচের সঙ্গে সৎ থাকবে না।



মিসবাহ-প্রসঙ্গে ভোগলের সেই টুইট। ছবি: টুইটারভোগলে মনে করেন, এক ব্যক্তি যদি একই সঙ্গে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করেন, তাহলে খেলোয়াড়েরা নিজেদের অনেক সমস্যাই কোচের কাছে গোপন করবেন। এতে যে দলে সমস্যা তৈরি হবে। সেটি বলাই বাহুল্য।

অনেক সময় কোচের কাছে খেলোয়াড়েরা নিজেদের অনেক গোপন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধান কামনা করেন। কোচ নিজের মতো করে সমস্যার সমাধান বলে দেন। অনেক ইস্যুই আছে, যেগুলো দলের অভ্যন্তরে আলোচনা হয়, কিন্তু নির্বাচকেরা জানেন না। এমন অনেক গোপন সমস্যাই নির্বাচকেরা শৃঙ্খলাপরিপন্থী বিষয় হিসেবে মনে করতে পারেন।



সবকিছু স্বাভাবিক করতে চান সাকিব

সবকিছু স্বাভাবিক করতে চান সাকিব

সবকিছু স্বাভাবিক করতে চান সাকিব



বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ইমার্জিং দল, ‘এ’ দল কিংবা বাংলাদেশ—কোনো দলই গত তিন মাসে তেমন সুখবর দিতে পারেনি। সাকিব আল হাসান চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতে ঘোচাতে চান দেশের ক্রিকেটের এ সাফল্যখরা।

পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কিছুই পড়ার থাকে না। এ সময় নির্ভার থাকাটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশও তা-ই করছে। অনেক অনুশীলন হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন দলের অনুশীলন তাই করে দেওয়া হয়েছে ‘ঐচ্ছিক’।

ফাঁকা নেট পেয়ে ভালোভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করে নিলেন বোলার তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ, নাঈম হাসান ও ইবাদত হোসেন। মাঝ–উইকেটের পাশে আরেকবার হাত ঘুরিয়ে নিলেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। প্রস্তুতি শেষ—এবার লড়াইয়ের অপেক্ষা।

এ বছর বাংলাদেশ দেশের মাঠে একটিই মাত্র টেস্ট খেলবে, সেটি এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। লম্বা বিরতিতে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ফেরা, সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তো আছেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে চান আরও একটি কারণে, ‘গত কদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো কাটছে না। হাইপারফরম্যান্স দল, “এ” দল—কোথাও আমরা খুব একটা ভালো করতে পারেনি। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ ইংল্যান্ডে ফাইনাল (ত্রিদেশীয় সিরিজে) খেলেছে। এই টেস্ট আমাদের কাছে তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ, খুব ভালো ভাবে জিতলে অনেক কিছু আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’

ইমার্জিং দল সিরিজ হারছে শ্রীলঙ্কার কাছে, ‘এ’ দল সিরিজ হারছে আফগানদের কাছে। ভারত সফরে ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছে জাতীয় দল। সাকিব দুর্দান্ত খেললেও তাঁর দল বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারেনি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরটা গেছে আরও বাজে। পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না, এর মধ্যে নানা কথা ছড়িয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে। এ নিয়ে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে। শুধু খেলোয়াড় নন, বিতর্ক হয়েছে কোচ নিয়েও। আগের কোচ স্টিভ রোডসকে আকস্মিক বিদায় দেওয়া হয়েছে। নতুন কোচিং স্টাফ যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ দলের এ রূপান্তরকালে আবার নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও।

সাকিব মনে করেন, একটা জয় পারে দেশের ক্রিকেটের নেতিবাচক সব আলোচনা পেছনে ফেলতে। কিন্তু ফলটা যদি হয় উল্টো? আফগানিস্তানের মতো র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচের দল, টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম দলের বিপক্ষে জিতলে খুব একটা আলোচনা বা প্রশংসা হবে না। কিন্তু উল্টো ফল হলেই যে সমালোচনার অভাব হবে না! সংবাদমাধ্যম কিংবা সাধারণ দর্শকেরা প্রশংসা করল না সমালোচনা করল, সেটি নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন সাকিব, ‘(আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে জিতলে) প্রশংসা হয় না এটা মনে হয় ভুল ধারণা। আমরা ক্রিকেটাররা জানি এটা কত বড় ম্যাচ, জিততে হলে কতটা ভালো করতে হয় ও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা নিজেদের সেভাবেই উৎসাহিত করি। মানুষ কিংবা আপনারা কতটা প্রশংসা করেন না করেন, এটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার নয়।



মিসবাহ পাকিস্তানের প্রধান কোচ, প্রধান নির্বাচকও

মিসবাহ পাকিস্তানের প্রধান কোচ, প্রধান নির্বাচকও

মিসবাহ পাকিস্তানের প্রধান কোচ, প্রধান নির্বাচকও



মিসবাহ-উল-হককে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। তিনি প্রধান কোচের পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। ওয়াকার ইউনিসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দলের বোলিং কোচ হিসেবে।

সব জল্পনাকল্পনা শেষ করে সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককেই প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শুধু প্রধান কোচই নয়, মিসবাহ একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিস আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে। মিসবাহর অধীনে তিনি পাকিস্তান দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করবেন।

বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন কোচ নিয়োগে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল। সাবেক অধিনায়ক ও কোচ ইন্তিখাব আলমের নেতৃত্বে এ প্যানেল ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বাজিদ খান, পিসিবির সদস্য আসাদ আলী খান, পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান ও অন্যতম পরিচালক জাকির খান। এই প্যানেল প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে মিসবাহ ও বোলিং কোচ হিসেবে ওয়াকারের নিযুক্তি চূড়ান্ত করেন। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন জানিয়েছে, মিসবাহর ব্যাপারে এ প্যানেলের সিদ্ধান্ত ছিল ঐকমত্যের।

প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন মিসবাহ, ‘এটা আমার জন্য সম্মান ও গৌরবের বিষয়। সেই সঙ্গে বিপুল দায়িত্বেরও। আমি সব সময়ই ক্রিকেট নিয়েই থেকেছি। ক্রিকেটই আমার জীবন।’

প্রধান কোচ হিসেবে প্রত্যাশার বিপুল চাপের ব্যাপারটিও মাথায় রাখছেন মিসবাহ, ‘আমি জানি, প্রত্যাশার মাত্রা আকাশচুম্বী। তবে আমি দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রস্তুত। যদি প্রস্তুতি না থাকত, তাহলে আমি কোনো দিনই এই কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতাম না।’ ২০১১ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন মিসবাহ। তাঁর অধীনে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। তাঁকে অনেকেই ইমরান খানের পর পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়কের স্বীকৃতি দেন। ওয়াকারের অধীনে অধিনায়কত্ব করেছেন মিসবাহ। এবার ওয়াকার থাকবেন তাঁর অধীনে। তবে ব্যাপারটি নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি। বরং অভিজ্ঞ ওয়কারকে পেয়ে দারুণ খুশি মিসবাহ, ‘আমি ওয়াকার ভাইয়ের মতো একজন অভিজ্ঞ ও কিংবদন্তিকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুবই খুশি।  



Wednesday, September 4, 2019

ডিভোর্সের পর মেয়েরা কেন একা থাকতে পারে না?

ডিভোর্সের পর মেয়েরা কেন একা থাকতে পারে না?

ডিভোর্সের পর মেয়েরা কেন একা থাকতে পারে না?



হ্যাঁ, ঠিক এই প্রশ্নটিই আমি করেছিলাম আমার পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য মানুষকে। আমাদের সমাজের অত্যন্ত প্রচলিত একটি ধারণা হচ্ছে- “ডিভোর্সের পর মেয়েরা একা থাকতে পারে না!” শুধু ধারণা হয়, বলা যায় বদ্ধমুল ধারণা। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও অসংখ্য মেয়ে এই ধারণাটির কারণে সম্পূর্ণ জীবনটি কাটিয়ে দেন কষ্ট আর হতাশায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধারণাটি কতটুকু সত্যি? বা এই ধারণাটা নিয়ে কী ভাবেন বর্তমানের নারী-পুরুষ? যাদের কখনো ডিভোর্স হয়নি বা খুব কাছের কারো ডিভোর্স দেখা হয়নি… তাঁরা হয়তো কখনোই বুঝতে পারবেন না মূল অবস্থাটি। কিন্তু যারা গিয়েছেন বা এখনও যাচ্ছেন এই পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে? হ্যাঁ, একমাত্র তারাই বলতে পারবেন যে সত্যিকারের পরিস্থিতিতি কেমন। আর তাই আমার প্রশ্নটি ছিল এমন কয়েকজন নারীর কাছে, যিনি ডিভোর্স পরবর্তী সময়টি মোকাবেলা করেছেন বা খুব কাছের কারো ডিভোর্স দেখেছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম এই ব্যাপারে তিনি কী মনে করেন, জানতে চেয়েছিলাম তাঁদের জীবনের ঝড়ঝাপটা গুলোর কথা। কী জবাব মিল? তাঁদের মন্তব্যগুলো নাহয় হুবহু-ই তুলে দিচ্ছি পাঠকের জন্য। বাকিটা পাঠক নিজ বিবেক দিয়ে বিবেচনা করবেন। কাজী নাজিয়া মুশতারী (৩০) নারী উদ্যোক্তা , রাজশাহী। আমি থাকি আম্মুর সাথে.. সেরকমভাবে কোন সমস্যায় পড়িনি, বিকজ অফ আমার ভয়াবহ অ্যারোগেন্ট ইমেজের জন্য। এবং এটা আমি নিজেই বানিয়েছি। আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে আমি অচ্ছুত হয়ে গেছি, আমার কেউ নাই- এরকম লুতুপুতু ইমেজ বানালে যে কেউ বিরক্ত করতে আসবে।

আর সবচে মজার বিষয় হচ্ছে আমার ব্যাপারটা থানা পুলিশ জেল অব্দি গড়িয়েছিল, কিছুটা হলেও শাস্তি দিতে পেরেছিলাম, তাই সবাই এই ভয়টাও পায় কীভাবে লাল দালানে চালান দিতে হয় সেটা আমি জানি, তাই আমাকে না ঘাটানোই ভাল। আর একা থাকার আরেকটা বিষয় নিয়ে সমস্যা হয় সেটা হলো বাসাভাড়া কেউ দিতে চায়না, আবার বাচ্চার স্কুলে অন্য মহিলাদের অযথা কৌতুহল এবং সব সময় নিজেকে একটু সাবধানে রাখতে হয় যাতে কেউ গুজব রটাতে না পারে। তবে এগুলাও মেন্টেন করা যায়। আমরা কেউ ছোট বাচ্চা তো না যে নিজের অসুবিধা বুঝবোনা। একা থাকার সবচে বড় শর্ত হচ্ছে স্বাবলম্বী হওয়া, স্বাবলম্বী যে কেউ একা থাকতে পারে। কারো অনুগ্রহে বা অধীনে বাঁচতে গেলেই একা থাকাটা আর হয়ে ওঠেনা। সাবরিনা খান(৩৪) ব্যাংকার, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা। আমি ঠিক একা না। মা সাথে থাকে। দোকা থাকা অবস্থাই মা আমার সাথে থাকতো। তবে মা আমাকে আবার বিয়ে করতে আগ্রহী নই বলে ফ্ল্যাট কিনতে বলে। সে সহ সবাই ভয় দেখায় মা চিরজীবন থাকবে না, তখন আমার থাকার জায়গা থাকবেনা। আমি ভাবছি শুধু থাকার জায়গার জন্য কি বিয়ে করা লাগবে! শাফিয়া (২৮) গৃহিণী, মিরপুর সমাজের মানুষ তো একা থাকলেও বলবে, দোকা থাকলেও বলবে। একা বা দোকা থাকা সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার হওয়া উচিৎ। তবে সমাজের কথাটা একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো ও নয়। কারণ- ১. প্রতিটা মানুষেরই একজন সংগী লাগে। যে সুখে দু:খে পাশে থাকবে।

মানছি মেয়েরা অনেক স্ট্রং, তারপরও, লাগে কিন্তু একজনকে। শারীরিক মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য। অনেকেই হয়তো শারীরিক চাহিদা উপেক্ষা করে থাকতে পারে (রেশিওটা অনেক কম কারণ শারীরিক সম্পর্ক একবার হলে সেটাকে অগ্রাহ্য করাটা টাফ), অনেকে না পারায় অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আবার কেউ হয়তো মানসিক সাপোর্ট এর জন্যও একা থাকতে চায় না। ২. এই সমাজের মানুষই একা থাকতে দিবে না। একা মেয়ে সাবলেটে থাকলেও খারাপ, একা থাকে। আবার চাকরি খুঁজতে গেলেও আগে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব পায়…. তো বেশিরভাগ মানুষই যেহেতু সুযোগ সন্ধানী তারা তো এভাবেই দেখবে যে একা মানেই একা না, নিশ্চয়ই তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। এই বাঁকা চোখটা এড়িয়ে ফাইট করতে ফ্যামিলি সাপোর্ট লাগে যেটা অনেকেই পায়না। ৩. বেশিরভাগ পরিবারের কাছেই এখনো ডিভোর্সি মেয়ে মানেই বোঝা। তাকে যে কোন ধরনের সাপোর্ট দিতে তারা নারাজ। বাট আমার নিজের যা মনে হয়েছিলো এবার তাই বলি। প্রতিটা মেয়েই নিজের একটা সংসারের স্বপ্ন দেখে। খুবই স্ট্রং একটা কারণে আমার প্রথম বিয়েটা টেকেনি। ৭ বছর চেষ্টা করেছি টেকানোর জন্য। বাট যেটা হওয়ার নয় সেটা হয়না। প্রথমে ভেবেছিলাম স্বাবলম্বী হই। বাট যেখানেই জবের জন্য যেতাম, আকারে ইংগিতে আমাকে বিছানায় শোয়ার আভাস দিতো।

নিজের প্রতিই একসময় ঘেন্না লাগা শুরু হলো, যে আমারই নিশ্চয় কিছু একটা প্রবলেম, নাহলে সবাই এই নজরেই কেন দেখবে। তাই একা থাকার চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন করে সংসার নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলাম কারণ বিয়ে ভাংগাতে তো আমার দোষ ছিলো না। স্বাভাবিক একটা জীবন চেয়েছিলাম। কারণ তখন হয়তো বয়স কম ছিলো। বাট একটা সময় বয়স বাড়বে। শেয়ারিং কেয়ারিং এর জন্য হলেও জীবনে কাউকে প্রয়োজন। ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণের স্বাদ শেয়ার করার জন্য হলেও কাউকে প্রয়োজন। আর আমাদের ধর্মেও কোথাও লেখা নেই যে ডিভোর্স হলে আর বিয়ে শাদি করা যাবে না। বরং সংসারের তাগিদই দেয়া আছে।

ব্যক্তির সর্ব প্রকার শান্তির জন্যই আমার মনে হয় একা থাকাটা ঠিক নয়। তবে সবারই এমনটা মনে হবে তা নয়, কারো সাপোর্ট পাইনি তাই হয়তো এমন মনে হয়েছে, ফ্যামিলি সাপোর্ট পেলে হয়তো অন্যরকম ভাবতাম। আসলে যার যার ভাবনা তার তার কাছে যেটা ডিপেন্ড করে সিচুয়েশন এর উপর। নাজমুন নাহার (২৮) সেন্ট্রাল হসপিটাল ব্রাক্ষনবাড়ীয়া। নিজের সমস্যাটাই বলি, সাত বছর সংসার করার পর হ্যাজবেন্ডের সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম এবং পারিবারিক কুটনীতির চালে ডিভোর্স হয়ে যায়। দুবছর একা আছি, প্রাইভেট হসপিটালে জব করি। সমাজ পারিবারিক অবস্থানের কারণে একা থাকা সম্ভবনা পারিবারিক সাপোর্ট কখনোই পাইনি। বরং পরিবার এবং আশপাশ থেকে শুনতে হয় মা-বাবা চিরদিন থাকে না, আবার নতুন করে চিন্তা কর, ভাইবোনরা সবসময় দেখবে না, তাছাড়া সমাজ কি বলবে? আমার প্রশ্ন কেন? সমাজ কি আলাদা কিছু, সমাজ তো আমরাই তৈরী করি। ভাইদের সংসার হবে, বোনের বিয়ে হবে, ঘরে ডিভোর্সী বোন থাকলে সমস্যা- এই ধারণা সমাজে পরিবারে কি আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছিনা? হ্যাঁ, দিনশেষে নিজেকে একা লাগে মনে হয় পাশে কাউকে দরকার এই দরকারটা কি শুধু সামাজিক পরিচিতির জন্য নাকি নিজের ভাল থাকার জন্য? সমাজের জন্য রিলেটিভদের জন্য তো সাত বছর নিজেকে সুখী কাপল সাজিয়েছি তাতে নিজে কতটুকু হ্যাপি হয়েছি… দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। প্রাচুর্য না থাকুক আত্মতৃপ্তি মানসিক শান্তি তো মেলে।

আতংকিত জীবন থেকে মুক্তি। হ্যাঁ, এটা সত্যি পারিপার্শ্বিক সব অবস্থা চিন্তা করে একা থাকাটা এই সমাজে নিরাপদ না। ধন্যবাদ আপু। রোদসী জামান সরকারি সাদত কলেজ,টাঙ্গাইল। ডিভোর্সী মেয়েদের আমাদের সমাজ ভাল চোখে দেখে না, আপু। এমনকি আত্নীয় সজন ও প্রতিবেশীদের কথা জীবন অতিষ্ট করে দেয়।প্রায় আড়াই বছর হল ডিভোর্সের এখনও শুনতে হয় আর একটু সহ্য করে গেলেই নাকি পারতাম।কিন্তু আমি জানি ওটা আমার জীবনের সব থেকে ভাল সিদ্ধান্ত ছিল।আর একা থাকা না থাকা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।তুমি যদি মুভ অন করতে রেডি থাকো আর এমন কাউকে খুঁজে পাও যে তোমাকে বুঝে,তোমাকে সন্মান করে তাহলে কেন তার সাথে থাকবে না? ফারিয়া রিশতা (২৫) মিরপুর, ঢাকা। ডিভোর্সের পর প্রথম যেটা ফিল করতাম সেটা হল শূন্যতা, মনের মধ্যে বিশ্বাস ভঙ্গের হাহাকার। এমন এক সিচুয়েশনে ডিভোর্স হল, অফিসের কাজে ঢাকায় থাকা লাগবে, একা! ছোট ভাইটা সাথে থাকত কিন্তু ও বেচারা নতুন ভার্সিটি লাইফ আর এই ডিভোর্স এর মারপ্যাঁচ বোঝার ক্ষমতাও তার নাই। ডিভোর্সটা সম্পূর্ন আমার ডিসিশন ছিল, বাবা-মা সাপোর্ট এ ছিলেন। তারপর থেকে দিব্যিই একা একাই আছি।

ইভেন গত কয়েকমাস সম্পূর্ণ একাই থাকছি। এক দিক দিয়ে ভাল হয়েছে সবার চেয়ে দূরে থেকে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে পেরেছি। কিন্তু চেনাজানা জায়গাগুলাতে যেতে খুব আনইজি লাগে। স্পেশালি অতি উতসাহী আত্বীয় স্বজনদের বাসায় যেতে আতংক লাগে। মনবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তারাই যথেষ্ট। এইবার হল মেইন পার্ট যেটা লিখব বলে এত কিছু লেখা – ফেসবুক ইনবক্স বা মোবাইল মেসেজেস। কিছু পুরুষের আসল রূপ দেখা হয়ে গেছে ডিভোর্সি হওয়ার সুবাদে। তাঁদের ভাষ্যমতে ডিভোর্সি মেয়েদের একা থাকতে শারীরিক ভাবে খুব কষ্ট হয় আর তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়া ইনাদের দ্বায়িত্ব বলে মনে করেন। আর সেই মানুষগুলা চেনাজানা মানুষগুলাই বেশি! আপু, একা থাকা কঠিন কিছু না। আমার পুরা ডিভোর্সের লড়াই একা আমি কোর্টে গিয়ে লড়েছি যখন আমার বয়স মাত্র ২৪ ছিল। একা চাকরি করেছি, একা একটা বাসা নিয়ে থেকেছি। কিন্তু আমার মতে তার জন্য যথেষ্ট শক্ত হতে হবে। প্রথমে আমিও ২ বার সুইসাইড করতে গেসিলাম। বাবা মা, কাছের বন্ধুদের সাপোর্ট ছিল বলে সারভাইভ করতে পেরেছি। এখন তো আরো ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ্‌। কিন্তু হ্যাঁ, মনে মনে নিজের একটা গুছানো সংসারের স্বপ্ন সেই কৈশোর কাল থেকেই দেখে এসেছি, এখনো দেখি । তবে এবার সেটা এমন একজন মানুষ এর সাথে যে আমাকে ভালবাসবে।

ড: মোহসিনা খান (৩৩) চিকিৎসক, উত্তরা। আমি তো একা নই, পুরো ফ্যামিলির সাথে থাকি আপু.. মা সবচেয়ে বেশী সাপোর্ট দেয় বলে দরকার নাই বিয়ে করার .. নিজেকে প্রতিস্ঠিত কর জীবনে এ পুরুষ দরকার নাই.. আমার ছোট ভাই আমারে সারাজীবন আগলে রাখতসে এমন করে যেন আমি তার ছোট্ট বোন.. আমার ঐ কূৎসিত জীবনের চাইতে এই জীবন আমার অনেক সুখের আনন্দের ..আমি ভাল আছি। নাজিয়া ইসলাম (২৬) সহকারী শিক্ষক, কেডিএ কলেজ,খুলনা। আমি ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে,অনেক স্ট্রাগল করে এ পর্যন্ত আশা..আমার মা ডিভোর্সড না হওয়া সত্ত্বেও সেপারেশনে থেকেছেন।আমার নানুবাড়ীতে থেকে আমাকে সিংগেল মাদারের মতন করে বড় করেছেন..আমার ২বছর ৯ মাস বয়স থেকে.. তবে এখানে সেপারেশনের ডিসিশনে যাওয়ার আগে অবশ্যই অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন,কারণ যে যাই বলুক টাকা ছাড়া জীবনযাপন আসলেই অসম্ভব। আর হ্যাঁ, বিবাহিত হয়েও পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান করতে পারছি না বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো বাবা,মামা এবং স্বামীর খোটা শুনতে হচ্ছে বৈকি…মা আমার সাথেই থাকেন।তার ছেলে সন্তান নেই..বাবার আলাদা পরিবার রয়েছে।এই বৈরী জীবনে মা কখনওই নিজের কথা ভেবে বাবার মতন সুখ খুঁজে নেন নি তাই আমিও পারবো না মেয়ে বলে মায়ের প্রতি নিজের দায়িত্ব টুকুন এড়াতে !তবুও প্রয়োজনে জীবনের বাকীটা পথ একা থাকতে হলেও রাজী,কিন্তু মাকে ছেড়ে চাকুরী ছেড়ে স্বামীর সংসারের রাজরানী হতে চাই না। আশা রাখি একদিন অবশ্যই মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারবোই ইনশাআল্লাহ। সমঝোতা তো থাকেই তবে জীবনের এই স্টেজে এসে কিছু কিছু সিধান্ত হয়তো সহজেই নিতে পারতাম যদি পূর্ন অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা থাকতো… আমার জীবনে মাকে কোন কিছুর বিনিময়েই আমি কম্প্রোমাইজ করতে পারবো না..তাতে যদি হতে হয় ডিভোর্সি.. না হয় তাই হলাম। তবুও এই ছোট্ট একটা জীবন ঠিকই কেটে যাবে মা পাশে থাকলে,তবু নিজের আত্ম মর্যাদার সাথে আপোষ কখনওই নয়।



ভাল বা খারাপ মেয়ে চিনবেন যে অঙ্গ দেখে

ভাল বা খারাপ মেয়ে চিনবেন যে অঙ্গ দেখে

ভাল বা খারাপ মেয়ে চিনবেন যে অঙ্গ দেখে



বিনোদন ডেস্কঃ কথায় আছে মুখই মনের দর্পন। মুখ দেখেই অনেকে বলে দেন আপনি দুঃখিত, চিন্তিত নাকি আনন্দিত। বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের মুখের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে বোঝা যায় তার চরিত্র। আর সেই বৈশিষ্ট্যের উপরে নির্ভর করেই কর্মক্ষেত্রে ইন্টারভিউ নেন এইচ আর। মনোবিদদের মতে আপনার মুখে কিছু পরিবর্তন দেখে বুঝে নেওয়া যায় মস্তিষ্কে কি চলছে। নিউরোলজিস্টদের এই সূত্র ধরেই মুখের ভাবভঙ্গির পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে। স্টিভেনের গবেষকদের মতে এরকমই কিছু অজানা তথ্য রইল আপনার জন্য

১। আত্মবিশ্বাস স্টিভেনের বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁদের মুখ লম্বার তুলনায় ৬০ শতাংশের কম চওড়া তারা পরিস্থিতি বিশেষে সচেতন হন। আবার যাঁদের মুখ লম্বার তুলনায় অন্তত ৭০ শতাংশ চওড়া তাঁদের মধ্যে জন্মগতভাবেই আত্মবিশ্বাস থাকে।

২। বন্ধুতা চোখের উপর থেকে ভ্রুয়ের অবস্থানের মধ্যে তফাত দেখে বোঝা যায় সে কতটা আত্মকেন্দ্রিক। স্টিভেনের মতে যে ব্যক্তির ভ্রু চোখ থেকে যত উপরে তার আত্মকেন্দ্রিকতা তত বেশি। অর্থাৎ সে নিজেকে তত বেশি ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করে।

৩। সহ্য ক্ষমতা দুটি ভ্রুয়ের মধ্যে তফাত দেখে বোঝা যায় তার সহ্য ক্ষমতা কেমন। স্টিভেনের বিশেষজ্ঞদের মতে দুটি ভ্রুয়ের মধ্যে যত বেশি তফাত থাকে তার সহ্য ক্ষমতা তত বেশি।

৪। হাস্যরস উপরের ঠোঁট এবং নাকের দূরত্ব দেখে আন্দাজ করা যায় কার হাস্যরস কেমন। এই দূরত্ব যার যত বেশি তার মধ্যে হাস্যরসও বেশি। এই দূরত্ব কম হলে তার রসিকতা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার সম্ভবনা থাকে।

৫। মহত্ব স্টিভেনের বিশেষজ্ঞরা বলেন উপরের ঠোঁট যত বেশি মোটা হয় তার কথায় ও আচরণে ততই ভদ্রতা এবং মহত্ব থাকে।

৬। বাস্তবতা স্টিভেনদের মতে যাঁদের চোখের পাতা যত মোটা, স্পষ্ট এবং কোঁকড়ানো তাদের মধ্যে বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব তত বেশি। যাদের চোখের পাতায় কোনও ভাঁজ নেই তারা তত বেশি সিদ্ধান্তগ্রহনকারী।

৭। আকর্ষক চোখের মণির রঙে যার গভীরতা বেশি তার আকর্ষণ ক্ষমতাও তত বেশি।



এক পয়েন্টে কোহলি পেছনে স্মিথের

এক পয়েন্টে কোহলি পেছনে স্মিথের

এক পয়েন্টে কোহলি পেছনে স্মিথের



বিরাট কোহলিকে টপকে টেস্ট ব্যাটসম্যান র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন স্টিভ স্মিথ

বল টেম্পারিংয়ের জন্য সাজা ভোগ করে অ্যাশেজ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ। এরপর খেলেছেন তিনটি ইনিংস—১৪৪, ১৪২ ও ৯২। চোটের কারণে মাঝে হেডিংলি টেস্ট খেলতে পারেননি স্মিথ। কিন্তু ওই তিনটি ইনিংস তাঁকে নিয়ে গেছে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যান র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে। আইসিসির হালনাগাদ র‌্যাঙ্কিংয়ে কোহলিকে টপকে শীর্ষে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।

র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদের আগে স্মিথের সঙ্গে ৬ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন কোহলি। কিন্তু কিংসটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৭৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলে নির্ভেজাল ‘ডাক’ (০) মারেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। এতে স্মিথের সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। মাত্র ১ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধানে র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে নেমে যেতে হয়েছে কোহলিকে। ৯০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে স্মিথ। কোহলির সংগ্রহ ৯০৩ রেটিং পয়েন্ট।

এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ব্যাটসম্যান র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন স্মিথ। কিন্তু তিন বছর পর ২০১৮ সালের আগস্টে তাঁর কাছ থেকে শীর্ষস্থানের দখল নেন কোহলি। গত বছরে মার্চ মাসে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ১২ মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ। এতে তাঁকে নেমে যেতে হয় র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে। নিজের রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগটা কাল থেকেই পাচ্ছেন স্মিথ। কাল ম্যানচেস্টারে শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় শেষে কোহলিকে এখন অপেক্ষা করতে হবে অক্টোবর পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে ভারত।

ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কোহলির খবরটি দুঃসংবাদ হলেও সুসংবাদও আছে। কিংসটন টেস্ট শুরুর আগে টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাতে ছিলেন ভারতের পেসার জশপ্রীত বুমরা। কিংস্টোনে ২৭ রানে ৬ উইকেটের বোলিং ফিগার দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের তিনে উঠে এসেছেন তিনি। বুমরার রেটিং পয়েন্ট ৮৩৫। ১৯৮০ সালে কপিল দেবের ৮৭৭ পয়েন্টের পর বুমরাই টেস্টে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ করা বোলার। বুমরা এ অর্জন করলেন মাত্র ১২টি টেস্টে, সেটিও প্রতিপক্ষের মাটিতে খেলে!



সাকিবের মতো ধারাবাহিক হতে চায় আফগানরা

সাকিবের মতো ধারাবাহিক হতে চায় আফগানরা

সাকিবের মতো ধারাবাহিক হতে চায় আফগানরা



আফগানিস্তানের ইংলিশ কোচ অ্যান্ডি মোলস সোজাসাপটাই চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে রাখতে চান। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথাই জানিয়েছেন তিনি।

অ্যান্ডি মোলস, মানুষটা বেশ রসিক। রসবোধ যেমন, আফগানিস্তানের এই ইংলিশ কোচের মানসিক শক্তিও প্রশংসনীয়। ডায়াবেটিসের রোগী। বাঁ পায়ের তলায় পুঁজ জমেছিল। বাধ্য হয়ে কাল চট্টগ্রামের একটা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করিয়ে পুঁজ বের করতে হয়েছে।

অস্ত্রোপচারের পর আজ বিশ্রাম নিতে পারতেন মোলস। বিশ্রাম নেননি। ক্র্যাচে ভর দিয়েই চলে এসেছেন মাঠে। ব্যান্ডেজ জড়ানো পা নিয়ে তীব্র রোদে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে ক্যাচ অনুশীলন করিয়েছেন আফগান ক্রিকেটারদের। ক্র্যাচে ভর দিয়ে পরে এসেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে।

খররোদে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে আর কঠিন কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মোলসের মুখটা রক্তিম হয়ে উঠছে। তবুও হাসিটা উবে যাচ্ছে না। এক সাংবাদিক যেমন জানতে চাইলেন, বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছেন। কতটা ভয় পাচ্ছেন তাঁকে? মোলস উত্তরটা দিলেন বেশ রসিয়ে, ‘আমি তো আর তাঁকে খেলছি না! তাঁকে নিয়ে ভীত নই। তবে এই যে দেখুন আমি এক পায়ে (পা দেখিয়ে) হাঁটছি। আমার মনে হয়ে সে আমাকে দ্রুত আউট করে দেবে।’

মোলসের এ কথায় না হেসে উপায় নেই। তবে সে হাসিটা তিনিই থামিয়ে দিলেন, ‘তাদের দলে বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে সাকিব। আমরা সেখানে ধারাবাহিক নই। মাঝে মধ্যে বাজে ক্রিকেট খেলি। আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাই, সাকিবের মতো ধারাবাহিক হতে হবে।’

বিনয়ী মোলস অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন চট্টগ্রাম টেস্ট আফগানিস্তান খেলবে ‘আন্ডারডগ’ হয়ে। তবে তার মানে এই নয়, বাংলাদেশকে ভীষণ ভয় পাচ্ছে আফগানরা। আফগানিস্তান কোচ বরং জানিয়ে রাখলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাই হবে তাঁদের লক্ষ্য, ‘আমরা বাংলাদেশকে অনেক সমীহ করি। আমাদের ওপরের দল তারা। তবে তাদের ভয় পাচ্ছি। অনেক দিন হলো তারা অসাধারণ খেলে দেশের মাঠে। আমরা অবশ্যই আন্ডারডগ। শীর্ষ দলই বাংলাদেশে এসে হাবুডুবু খেয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই এখানে আমাদের স্কিলের কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। যদি স্কিল কাজে লাগাতে পারি ও মনোযোগ ধরে রাখতে পারি আগামী পাঁচটি দিন বিশেষ কিছু করার সামর্থ্য আমাদের আছে।’

বাংলাদেশ যে চট্টগ্রাম টেস্টে তাদের প্রথাগত শক্তির বাইরে যাবে না, সেটি স্কোয়াড দেখেই বোঝা গেছে। চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেওয়ার অর্থই হচ্ছে বোলিং বিভাগ সাজানোই হবে স্পিন-আক্রমণে ভর করে। আফগানিস্তান দলে ডান হাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্য থাকায় দুই বাঁহাতি স্পিনার খেলা অনেকটাই নিশ্চিত । প্রশ্ন শুধু দুই অফস্পিনারই খেলবে না কি একজন।

আফগানিস্তানের শক্তির জায়গা স্পিন। বিশ্বমানের স্পিন প্রতিপক্ষ দলে, সেটি জেনেও বাংলাদেশ স্পিন আক্রমণে জোর দিচ্ছে—এটি মোটেও অবাক করেনি আফগান কোচকে, ‘ওদের স্পিন আক্রমণ দেখে মোটেও অবাক হইনি। সবশেষ কয়েকটি টেস্টে তাদের দলটা আমি দেখেছি। এটাকে বলে ঘরের মাঠে সুবিধা নেওয়া। বরং এতেই অবাক হতাম যদি তারা শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ নিয়ে না খেলত। আমাদেরও স্পিন আক্রমণটা ভালো।’

নিজেদের আন্ডারডগ বললেও মোলস কিন্তু শেষ কথাটায় চ্যালেঞ্জই জানিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকে। সাকিব-তাইজুলরা যদি আফগান ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেন, রশিদ-কায়েসরাও কথা বলবে চোখে চোখ রেখে।



অর্থমন্ত্রী বললেন, এ বছর বিপিএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই

অর্থমন্ত্রী বললেন, এ বছর বিপিএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই

অর্থমন্ত্রী বললেন, এ বছর বিপিএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই



অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিসিবির সঙ্গে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চুক্তি অনুযায়ী এক বছরে দুইবার বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। বিসিবি অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা বিপিএলের সপ্তম আসর।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএল এক বছরে দুইবার আয়োজন অসম্ভব—এমন মন্তব্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন। আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে বিপিএলের সপ্তম আসর আয়োজনের কথা আছে।

অর্থমন্ত্রী বিসিবির সাবেক সভাপতি। এ মুহূর্তে বোর্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকলেও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের উপদেষ্টা তিনি। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

এক বছরে কেন দুইবার বিপিএল আয়োজন করা যাবে না, এর পক্ষে মুস্তফা কামালের যুক্তি, ‘বিপিএল আমার সময়ে তৈরি করা। আইনে আছে এক বছরে দুইবার বিপিএল হবে না। সে হিসেবে এ বছর বিপিএল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিসিবি সভাপতি দেশের বাইরে আছেন। তিনি না ফেরা পর্যন্ত বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আয়োজন পিছিয়ে যায়। পরে নির্বাচনের পর জানুয়ারি মাসে শুরু হয় বিপিএলের ষষ্ঠ আসর।



টানা জয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

টানা জয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

টানা জয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ



হ্যাটট্রিক জয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন আয়েশা-সানজিদারা। মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ১৩ রানে জেতে বাংলাদেশ।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্কটল্যান্ড। বৃষ্টি বাধায় ১৭ ওভারে নেমে আসা দৈর্ঘ্যের ম্যাচে ১৬ রানের মাথায় ওপেনার সানজিদা ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার মুরশীদা খাতুন ফিরে যান দলীয় ৪৭ রানে। সাজঘরে ফেরার আগে মুরশীদার ব্যাট থেকে ২ চারের মাধ্যমে আসে ২৬ রানের ইনিংস। তবে তিনে নেমে নিগার সুলতানা ৩৭ বলে ৩৫ রান করে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থাকেন। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে আসা ফারজানা হকের ২২ বলে ২৩ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১০৪ রান তোলে।

বৃষ্টির কারণে স্কটিশদের ইনিংস আরও ছোট হয়ে ৮ ওভারে নেমে আসে। ৮ ওভারে ৬৩ রানের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য কঠিনই হয়ে পড়ে। ৮ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ৪৯ রান তোলে স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের ওপেনার কে ব্র্যাইসই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১ রান তোলেন এবং দুই অঙ্কের ঘরে রান তোলেন। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার, রিতু মনি ও খাদিজা তুল কুবরা।  ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের নিগার সুলতানা।



Tuesday, September 3, 2019

একটা বাঙালি মেয়েকে যে ভাবে ভালো লাগে।

একটা বাঙালি মেয়েকে যে ভাবে ভালো লাগে।

একটা বাঙালি মেয়েকে যে ভাবে ভালো লাগে।





একটা বাঙালি মেয়েকে বাঙালিয়ানায় যতটা ভালো লাগে এবং মানায় অন্য আর কোন ভাবেই তেমন টা মানায় না এবং ভালো ও লাগে না।

শাড়ি বা অন্য বাঙালি পোষাকে একটা বাঙালি মেয়েকে যেমন লাগে তা সত্যি এক সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বলা চলে। আর এজন্যই কবি বলেছেন যে “কলশি কাঙ্খে নদী থেকে ফেরা বাঙালি নারী সব চেয়ে সুন্দর হয়” কিন্তু আজ কাল অনেক মেয়েদের সুন্দর হওয়ার নানান অসফল চেষ্টা দেখে বলতে ইচ্ছা করে এমন যদি সত্যি হত তাহলে কবি হয়তো অন্য কথা বলতেন, শাড়ি চুরি কাজল বাদ দিয়ে টপস আর শর্ট জিন্স পড়তে বলতেন।

নারী তুমি সত্যি সুন্দর, প্রকৃতির অনন্য এক সৃষ্টি। তবে তোমাকে বুঝতে হবে কিসে তোমাকে মানায় আর কিসে না। কোনটা তোমার সংস্কৃতি আর কোনটা তোমার নয়।

কেউ Personally না নিলে খুশি হব।



মেয়েদের যে বিষয়গুলো ভাবলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে

মেয়েদের যে বিষয়গুলো ভাবলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে



মেয়েদের যে বিষয়গুলো ভাবলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে



মেয়েদের তুলনা হয় না:–মেয়েদের আমরা যতই আবেগী বলি, দুর্বল বলি না কেন, তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা সত্যি অসাধারণ।মেয়েরা হয়তো ছোট্ট কিছু হলেই উহ,আহ.. করে কিংবা ইনজেকশনের সূচ ফোটানোর মত ক্ষুদ্র আঘাতও তারা ভয় পায়। কিন্তু তারাই আবার প্রয়োজনে ডেলিভারির মত কয়েকশগুণ কষ্টও সহ্য করতে পারে!! পারে প্রয়োজনে প্রিয়জনের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে। সারাদিন কষ্ট করে রান্নাবান্না করে স্বামী- সন্তানের ক্ষুধা দূর করার মধ্যেই তারা শান্তি খুঁজে পায়, সারাদিনের কষ্টের কথা ভুলে যায়। সেটা আপনি আপনার মার দিকে তাকালেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পাড়বেন।একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছে গুলো..মনের অনুভূতি গুলো। ত্যাগ করতে হয় সব ইচ্ছা। পিতার ঘর ত্যাগ করতে হয়। বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার নাম। সন্তান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম…খাওয়া -দাওয়া।অসীম ধৈর্য, ত্যাগ, কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা! আপনজনদের খুশী রাখার জন্য নিজের সবকিছুকে বিসর্জন দেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মেয়েদের কেই দিয়েছেন। তাই মেয়েদের বুঝতে শিখুন। তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবেন না… আর আপনি যদি তাকে সম্মান দিতে না পারেন, তাহলে অন্তত অসম্মান করবেন না।মেয়েদের মন খুব নরম। সেই নরম মনে কখনো আঘাত করোনা.. কখনো কষ্ট দিয়ো না। শুধু তাকে আপন করে একটু ভালবাসা দিয়ে দেখো………. সমস্ত পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধুই তোমারই জন্য।মেয়েরা সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি একটি মেয়েই পারে তার অগুছালো প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার মায়ায় যত্ন করে গুছিয়ে তুলতে।মেয়েরা মায়াবতী,ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়।একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও অন্যটা ফেলে না। পুরাতন শাড়িটা ভাঙা চুড়িটা.. কাজে লাগবেনা জেনেও তুলে রাখে..কারণ হলো মায়া। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিষও ফেলে না। অসংখ্য কষ্ট , যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ারটানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী আর মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নেই।অনেক ভাই হয়তো ভাবতে পারেন আমি ছেলে হয়ে এমন ভাবে মেয়েদের কে সাপোর্ট করছি কেন?কারন হলো আমিও যে এমনই একটা মেয়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছি।আর সেটা আর কেও না আমার মা। আমরা ছেলেরা সত্যি খুব lucky…একজন নারীকে মা হিসেবে পেয়ে,একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে….!!!

সুত্র >>ঈশান মাহমুদ ফারাবী এর লেখা



বাসর রাত সম্পর্কে মেয়েদের মনে যে ১০টি প্রশ্ন

বাসর রাত সম্পর্কে মেয়েদের মনে যে ১০টি প্রশ্ন

বাসর রাত সম্পর্কে মেয়েদের মনে যে ১০টি প্রশ্ন



বিয়ের পর প্রথম রাত অর্থাৎ বাসর রাত এক দম্পতির জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় এক মুহূর্ত। যাইহোক, কনে এবং বর উভয়ের মনেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেক সন্দেহ থাকে এবং মনে অনেক প্রশ্নও থাকে যতক্ষণ না বাস্তবে এই রাতের সম্মুখীন হয়। বিশেষত যদি এটি একটি দেখাশোনা করে বিয়ে হয়, মেয়েটি খুব ঘাবড়ে যায় এবং তার মনের মধ্যে অসংখ্য প্রশ্ন থাকে। মেয়েটির কাছে শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ একেবারেই নতুন হয় এবং কখনো কখনো এমনও হয় বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে দেওয়ায়, মেয়েটি তার স্বামী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারে না। স্বভাবতই তার মনে একটা গোপন ভয় কাজ করে এবং মাথায় হাজারো প্রশ্ন ঘুরতে থাকে।

আজ আপনাদের সামনে এরকমই ১০টি কমন প্রশ্ন নিয়ে এসেছি, যেগুলি ফুলশয্যার রাত সম্পর্কে বেশিরভাগ মেয়ের মাথাতেই আসে। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

১. যদি আমি শরীরের গোপন অঙ্গে আর বাকি অংশে ওয়াক্সিং না করায় তাহলে আমাকে লোমশ দেখে ও কি মনে করবে?

শারীরিক চুল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই সাধারণ, আপনার এটি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়ার সেরকম কোনো কারণ নেই। সেরকম একান্তই প্রয়োজন বোধ করলে শরীরের গোপন অংশের চুল ছোট করে ছেঁটে ফেলুন, যদি ওয়াক্সিং করাতে আপনার ভয় লাগে।

২. আমার শারীরিক গঠন নিয়ে ও কি ভাববে? ও কি ভাববে আমি কি খুব মোটা না খুব রোগা?

এই বিশ্বে কেউ নিখুঁত নয়। আমাদের সবারই শরীরে কিছু ত্রুটি আছে বা কোনো দাগ আছে বা রয়েছে মেদ। নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে দূর করতে হবে। মনে রাখবেন বিয়ে শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণ বা সেক্সের জন্য নয়। সে আপনাকে একজন মানুষ হিসেবেই ভালোবাসবে। আপনার গুণাবলী দেখে সে প্রভাবিত হবে, আপনার শরীরের গঠন দেখে নয়।

৩. আমি কোনোদিন হট জামাকাপড় পরিনি। বিয়ের রাতে কি সেক্সি অন্তর্বাস পরতে হবে?

না , এটা কোনোমতেও নয়। আপনি যেটা পড়বেন শুধু খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন রুচিসম্মত হয় এবং আপনাকে মানায়। নিজের সাজগোজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। মেয়েদের শাড়িতেও যথেষ্ট উত্তেজক লাগে। আর আপনি যদি চান, তাহলে হট অন্তর্বাস পড়তেই পারেন, সেটি আপনাদের রোম্যান্সে অন্য মাত্রা যোগ করবে।

৪. একজন অপরিচিত ফুলশয্যার রাতে আমার জামাকাপড় খুলবে, এটা আমি কি করে হতে দেবো?

অনেক কনের মনেই এই উদ্বেগ আছে, কিন্তু যখন সব ঘটেছে নিজেরই মনে হবে এটাকে জাদুময় মুহূর্ত। আপনি শুরুতে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন কিন্তু তিনি হাত ধরলে এবং তারপর চুম্বনের একটি মৃদু স্পর্শে আপনি আরামদায়ক বোধ করবেন। পরে, আপনি সেই প্রবাহের সঙ্গে যেতে থেকে নিজেকে থামাতে পারবেন না।

৫. আমি কোনোদিন কারও সাথে সেক্স করিনি, কিন্তু অন্যান্য কারণে নিজের ভার্জিনিটি হারিয়েছি। প্রথম রাতে যদি রক্ত না বের হয় তখন ও কি মনে করবে?

সেই সমস্ত পুরনো চিন্তা-ভাবনার দিন চলে গেছে। লোকজন এখন অনেক বেশি শিক্ষিত, ছেলেরাও জানে যে, একটি মেয়ে বিভিন্ন কারণে কুমারিত্ব হারাতে পারে। সবসময় খেয়াল রাখবেন, বিশ্বাসই হল একটি সম্পর্কের ভিত্তি। আপনার স্বামী যদি আপনাকে বিশ্বাস করে তাহলে এই ধরণের বোকার মত প্রশ্ন সে কখনই করবে না।

৬. আমি কি খুব ব্যথা পাবো? আমি কি ব্যথা সহ্য করতে পারবো?

অনিবার্যভাবে, প্রথমবারের জন্য যখন সেক্স করা হয় তখন ব্যথা হয় তখন ব্যথা হয়, তবে সেই ব্যথা একেবারেই অসহ্য এমনটা নয়, যদি না আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে। আরো কি, আপনি দ্বিধা ছাড়াই আপনার স্বামীর সঙ্গে সমস্যা শেয়ার করতে পারেন। তিনি তা বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।

৭. কিভাবে বলবো আমি এখুনি এসব করতে চাই না? ও কি রেগে যাবে?

না, তিনি রাগ করবেন না কারণ আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যদি আপনি ফুলশয্যার রাতে আরামদায়ক না হন, তাহলে তাকে নম্রভাবে বলুন এবং তিনি আপনাকে বাধ্য করবেন না কারণ এটি একমাত্র রাত নয়, এসব শুরু করার জন্য আরো অনেক রাত থাকবে।

৮. আমি কি ওনার অপেক্ষা করবো না নিজে থেকেই এগিয়ে যাবো?

সেই সময় এখন চলে গেছে, নববধুরা লম্বা ঘোমটা টেনে খাটে বসে স্বামীর অপেক্ষা করবে। আপনার এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এগিয়ে, নিজের ইচ্ছাকে দমন করার কোনো কারণ নেই। অনেক পুরুষই পছন্দ করেন স্ত্রীরা আগে এগিয়ে আসুক মিলনের ব্যাপারে।

৯. যদি সে ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে পরে বা আমি যদি ঘুমোতে চাই, তাহলে উনি কি রেগে যাবেন?

দুটো ক্ষেত্রেই কারোরই রাগ করার কোনো কারণ নেই। কারণ বিয়ের রীতি-রেওয়াজ পালন করে সারাদিন সবাই ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ঘুমিয়ে পরতেই পারেন। সেই ক্ষেত্রে দু’জনের ভালোবাসার সম্পর্কের অপেক্ষা একটু দীর্ঘায়িত হয়। ১০. কিভাবে তাকে বলবেন যে আমি বিবাহের পর মাতৃত্বের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই না এবং কিছু সময় প্রয়োজন?

বিয়ের প্রথম রাত শুধুমাত্র শারীরিক ঘনিষ্ঠতার জন্য নয়, পরস্পরের অনুভূতিও এতে কাছাকাছি আসে। যদি আপনার মনে হয় আপনি মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নন তাহলে সেটা আপনার সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন। সে যদি আপনার কথায় রাজি না হয়, তাকে আপনার কেরিয়ারের সম্পর্কে বোঝান। মতামতের আদান-প্রদানের মাধ্যমেই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। সে নিশ্চয় আপনার কথা শুনবে।

এইগুলিই ছিল আয়োজন করা বিয়ে নিয়ে মেয়েদের মনে ওঠা ১০টি প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা। আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানান।



১৭ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করার সুবিধা

১৭ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করার সুবিধা

১৭ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করার সুবিধা



শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত শ্রেণীর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরাই অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বিয়ে করে থাকে কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হল অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের বিবাহের হার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সর্বত্রই প্রায় সমান।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে ৬৬% মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার হবার পূর্বেই বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়! কিন্তু পুরুষেরা কেন তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তা কি আমরা ভেবে দেখেছি?

চলুন খুঁজে বের করি কারনগুলো-

১। আধিপত্য- সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষেরা সর্বত্র আধিপত্য বিস্তারে অভ্যস্ত। আর তাদের এই আধিপত্য বিস্তারের যে চর্চা তার বৃত্ত থেকে তাদের পরিবার এবং পরিবারের সদস্যরাও বাদ যান না। আর আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে স্ত্রীদের উপর স্বামীদের আধিপত্য বিস্তার অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই, অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

২। অস্বস্তিবোধ- জনপ্রিয় পোস্ট সমূহ রক্তচোষা ছারপোকা তাড়াতে কি করবেন ? শিখে নিন কৌশল আজ রাত থেকেই সাবধান হোন,এই পজিশনে চরম আদর করেছেন তো আপনার সব শেষ বিস্ময়কর হলেও সত্যি, পুরুষেরা তার সমবয়সী মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অস্বস্তিবোধ করে। পুরুষের সমযোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না- এই ধারণাই পুরুষকে তার চেয়ে অনেক কম বয়সী নারীকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে।

৩। কুঁড়িতেই বুড়ি- আমাদের দেশে পুরুষেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা লাভ করতে করতে বয়স প্রায় ৩০ এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছে। আর আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা যে, মেয়েরা কুঁড়িতেই বুড়ি হয়ে যায়। তাই, স্বাভাবিকভাবেই স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আমাদের সমাজে অনেক বেশি।

৪। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা- পুরুষদের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে, তারা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের পরিচর্যা করবার মত কেউ থাকবে না। এমনকি সন্তানেরাও তাদের পরিচর্যা করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। তাই, কম বয়সী স্ত্রীই এই সমস্যার সমাধান। তাদের ধারণা স্ত্রী রা তাদের যথাযথ পরিচর্যা করতে কখনই অস্বীকৃতি জানাবে না।

৫। দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন- সাধারণত ৪০ এর পরেই অধিকাংশ নারীদের যৌন আবেদন ধীরে ধীরে স্তিমিত হতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনাকাঙ্ক্ষা আরও দীর্ঘ সময় বজায় থাকে। তাই, সমবয়সী নারীদের বিবাহে অনেক পুরুষদেরই অনীহা রয়েছে। তাদের ধারণা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে তারা দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন লাভ করতে পারবে।